১ মাসে কমিয়ে ফেলুন – বাড়তি ওজন যেমন যন্ত্রণার তেমনই স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং কমানোর চেষ্টা করার ব্যাপারে প্রায় সকল ডাক্তারগণই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অনেকে অনেক ধরণের নিয়মকানুন এবং ডায়েটের মাধ্যমেও কমাতে পারেন না বাড়তি ওজন। আবার অনেকে ডায়েট বা ব্যায়াম করে ওজন কমিয়ে ফেললেও তা ধরে রাখতে পারেন না। সুতরাং শুরু হয় সমস্যা। কিন্তু সকল সমস্যারই রয়েছে সমাধান।
কিছু অভ্যাসে যেমন আমাদের দেহে জমা হয় ফ্যাট এবং বাড়ে ওজন তেমনই কিছু অভ্যাসে আমাদের দেহ থেকে ফ্যাট ঝরিয়ে ফেলাও সম্ভব। ৬ টি অভ্যাস রপ্ত করে নিতে পারলে খুব সহজেই মাত্র ১ মাসে কমিয়ে ফেলা সম্ভব ২০ পাউন্ড ওজন। অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন কী করে? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক।
১) দিনে ৫ বেলা খাবার খান
৫ বেলা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। সকাল ৯ টার আগে সকালের নাস্তা সেরে নেবেন, ১১ টায় সামান্য কিছু ফলমূল খেতে পারেন। দুপুর ১ টায় সেরে নিন দুপুরের খাবার। বিকেল ৫ টায় খাবেন সামান্য পুষ্টিকর খাবারের নাস্তা। এবং রাত ৮ টার মধ্যে রাতের খাবার খাওয়ার অভ্যাস করবেন। রাতে বেশি দেরি করে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে ঘুমানোর আগে ১ গ্লাস গরম দুধ খাবেন। এবং প্রতিবেলাই খাবার হতে হবে পুষ্টিকর ও পরিমিত।
২) খাবার নির্বাচন করুন ভেবে চিন্তে
খাবার নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রোটিন, শাকসবজি এবং ফলমূলের দিকে নজর দেবেন সবচাইতে বেশি। কারণ এই সকল খাবারে ক্যালরি ও ফ্যাট কম থাকে এবং সেই সাথে ক্ষুধার উদ্রেক কম করে। এতে করে ওজন কমানো এবং নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
৩) এড়িয়ে চলুন কার্বোহাইড্রেট
পাউরুটি, ভাত, সিরিয়াল, আলু, নুডুলস, পাস্তা ইত্যাদি ধরণের কার্বোহাইড্রেট খাবার খুব অল্প পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস করুন এবং পারলে তা এড়িয়ে চলুন। কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবারে যতোটা ক্যালোরি থাকে তা আপনি অন্য খাবার দিয়ে পূরণ করে ফেলুন এতে দেহে শক্তির কোনো ঘাটতি হবে না। যেমন ১ কাপ ভাতে ৩০০ ক্যালোরি থাকে কিন্তু ১ কাপ শাকে মাত্র ৩০ ক্যালোরি থাকে। এভাবে কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতি পূরণ করে ফেলুন অন্যান্য খাবার দিয়ে।
৪) সকল ধরণের পানীয় পানের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন
সকল ধরণের কোমল পানীয় থেকে দূরে থাকার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এবং সেই সাথে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। চা/কফি এবং অন্যান্য রিফ্রেসিং পানীয় পানে সতর্ক থাকুন। চিনিযুক্ত কোন পানীয় পান করবেন না। তাজা ফলের রস খেতে চাইলেও যোগ করবেন না তাতে। এবং কোন ধরণের মদ্যপানের অভ্যাস তৈরি করবেন না।
৫) প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০ মিনিটের ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম
প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন বা এর সমতুল্য শারীরিক পরিশ্রম করুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করুন, সারাদিনে কাজের ফাকে সময় পেলে হাঁটাহাঁটি করুন, বাসায় ফেরার সময় হাঁটার অভ্যাস তৈরি করুন, সন্ধ্যার সময় কিংবা রাতে খাবার আগে ব্যায়াম করুন। এভাবে দিনে মাত্র ৩০ মিনিট ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করার অভ্যাস করুন।
৬) সপ্তাহে মাত্র ১ দিন পরিমিত ফ্যাট খাবার
ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া কমিয়ে দেয়ার অর্থ এই নয় যে একেবারে খেতে পারবেন না। সপ্তাহে মাত্র ১ টি দিন ফ্যাট খাবার খেতে পারেন। কারণ কিছুটা ফ্যাটের প্রয়োজন রয়েছে দেহের। কিন্তু অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে ফ্যাট গ্রহন করতে হবে। অতিরিক্ত পরিমাণে ফ্যাটযুক্ত খাবার খাবেন না।